প্রেসিডেন্টের স্ত্রী ভাইস প্রেসিডেন্ট
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিইয়েভ মঙ্গলবার তাঁর স্ত্রীকে দেশটির প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশটির ক্ষমতা কাঠামোতে প্রেসিডেন্টের পরেই ভাইস প্রেসিডেন্টের স্থান।
প্রেসিডেন্ট ইলহাম স্ত্রীকে এই পদে বসানোর জন্য সেপ্টেম্বরে সংবিধান সংশোধন করেন বলে জানা যায়। তাঁর স্ত্রীর নাম মেহরিবান। তিনি একজন আইনজ্ঞ এবং সমাজসেবক হিসেবে কাজ করে আসছিলেন। মেহরাবিনের বয়স যখন ১৯, তখন ইলহামের সাথে তাঁর বিয়ে হয়। তিনি মস্কো স্টেট মেডিক্যাল ইন্সটিটিউটে পড়াশুনা করেছেন।
দেশটির সংবিধান অনুসারে প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব পালনে অপারগ হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন। এছাড়া ভাইস প্রেসিডেন্টের তেমন কোন কাজের কথা উল্লেখ নেই। ভাইস প্রেসিডেন্টের জন্য প্রসিকিউশন থেকে দায়মুক্তির বিধান রাখা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি মন্ত্রীসভার উপর নজরদারিতে নিযুক্ত হতে পারেন।
ইলহামের বিরোধী পক্ষ বলছেন, সেপ্টেম্বরে সংবিধানে যে সংশোধনী আনা হয়ছে তাঁর মূল উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতা কুক্ষিগত করা। তখন প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ৫ বছর থেকে বাড়িয়ে ৭ বছর করা হয়। ২০০৩ সালে তিনি পিতার উত্তরসূরি হিসেবে দেশটির ক্ষমতায় আরোহণ করেন। ইলহামের পিতা সোভিয়েত আমলে কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হিসেবে দেশটি শাসন করেন। সোভিয়েতের পতনের পরে তিনি আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট হন।
ইলহাম তাঁর শাসনামলে পশ্চিমের তেলসমৃদ্ধ ধনী দেশগুলোর সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘতান। কাস্পিয়ান সাগরের আশেপাশের এলাকা আগে রাশিয়ার প্রভাব বলয়ে ছিল। তবে তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বিরোধীদের নির্যাতনের জন্য বেশ সমালোচিত হন।
প্রেসিডেন্ট নিজেকে আজারবাইজানের স্থিতিশীলতার প্রতীক হিসেবে পরিচয় দিতে ভালবাসেন। ১৯৯১ সাকে সোভিয়েতের পতনের পর দেশটিতে ব্যাপক নৈরাজ্য দেখা দিয়েছিলো।
২০০৪ সাল থেকে নিউ আজারবাইজান পার্টির সঙ্গে যুক্ত আছেন মেহরিবান আলিইয়েভা। ২০১৩ সাল থেকে দলটির ডেপুটি চেয়ারওম্যান-এর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ইলহাম ও মেহরিবান দম্পতির দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/নাজমুল